এটি একটি জরুরি ধারণাগত বিবরণ। [জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে যারা আগ্রহী, যাঁরা কাজ করেন, পড়াশোনা করেন, বুঝতে চান, শিখতে চান – তাঁদের ধারণা স্পষ্ট করার জন্য এটা একটা দরকারি ডকুমেন্ট। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা এই ডকুমেন্টটি তৈরি করেছে জ্যোতির্বিদ্যায় সাক্ষরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। বিজ্ঞান সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে যেমন ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন কয়েকটি ধারণাগত স্টেটমেন্ট তৈরি করেছে, এটিও তদ্রূপ। এখানে ১১টি মূল পয়েন্ট আছে। প্রতিটির অধীনে আছে ৫-৭টি উপধারা এবং তাদের বিস্তারিত বিবরণ। এগারোটি ধারায় জ্যোতির্বিজ্ঞানের কয়েকটি মূল স্তম্ভকে সংক্ষেপে তুলে আনা হয়েছে। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে এবং এদের উপধারায় বর্ণিত প্রস্তাবনাগুলি সম্পর্কে আমাদের সাধারণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এই বর্ণনাগুলিই জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাক্ষরতার সাথে বিজড়িত কোর কনসেপ্ট। অতএব, এই আন্তর্জাতিক ইশতেহারটি অনুধাবন ও অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। – সম্পাদক ]
জ্যোতির্বিদ্যার মোদ্দাকথা আইএইউ ডকুমেন্ট , ২০২০
১. জ্যোতির্বিদ্যা মানব-ইতিহাসের প্রাচীনতম বিজ্ঞানগুলোর অন্যতম।
২. অনেক মহাজাগতিক ঘটনাই আমাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার অংশ।
৩. রাতের আকাশ বিচিত্র, সমৃদ্ধ এবং গতিময়।
৪. জ্যোতির্বিজ্ঞান এমন একটি বিজ্ঞান যা মহাবিশ্বের বিভিন্ন জোতিষ্ক এবং মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে।
৫. জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রযুক্তির বিকাশ দ্বারা ঋদ্ধ হয় এবং তাকে ত্বরান্বিত করে।
৬. মহাবিশ্বকে সম্পূর্ণরূপে বোঝার বিজ্ঞানই কসমোলোজি।
৭. সৌরজগতের ভেতরে একটি ক্ষুদ্র গ্রহে আমাদের সবার বসবাস।
৮. আমরা সবাই নক্ষত্রধূলি দিয়ে তৈরি।
৯. মহাবিশ্বে নিখর্ব সংখ্যক (কয়েক শত বিলিয়ন) নক্ষত্র রয়েছে।
১০. এই মহাবিশ্বে আমরা সম্ভবত নিঃসঙ্গ নই।
১১. এই মহাবিশ্বে পৃথিবী আমাদের একমাত্র বাসস্থান, একে আমাদের রক্ষা করতেই হবে।
অনুবাদ ও সম্পাদনা টিমের পক্ষে – Dr. Farseem Mannan Mohammedy
National Outreach Coordinator (Bangladesh), International Astronomical Union (IAU)